
পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগ করে স্বস্তিতে ফিরছেন চাকরিজীবীরা, সময়মতো ট্রেন ও লঞ্চে ভোগান্তিহীন যাত্রা — ধীরে ফিরছে রাজধানী তার চেনা রূপে
ঈদের ছুটির ষষ্ঠ দিন শুক্রবার (১৩ জুন) সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন ট্রান্সপোর্ট হাব—বিশেষ করে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ও সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল—ভিড় এবং উন্মুক্ত পরিবেশ নিয়ে চোখে পড়ার মতো দেখা গেছে। Somoy News-এর তথ্য অনুযায়ী, ছুটি হাতেই ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছেন বেসরকারি ও সরকারি চাকরিজীবীরা; ফলে কমলাপুরে ট্রেনের সংখ্যা বেড়েছে, কিন্তু বিশেষ ভোগান্তির আশঙ্কা দেখা দেয়নি
বর্তমানে ট্রেনগুলো সময়মতো ঢাকায় পৌঁছে যাচ্ছে, এবং যাত্রীদের একাংশ জানাচ্ছেন ভোগান্তি ছাড়াই তারা ফিরতে পেরেছেন । কমলাপুর স্টেশনের ম্যানেজার মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম জানান, “প্রতিটি ট্রেন নির্ধারিত সময়েই এসেছে, তবে শুক্রবার ও শনিবার যাত্রীর চাপ আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে”
। আর একাত্তর, ঢাকা পোস্ট ও টাইমস অব বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের রিপোর্টগুলোও এই দৃশ্যমান স্বস্তিকে নিশ্চিত করেছে
নৌপথেও পরিস্থিতি একই রকম—সদরঘাট, যাত্রাবাড়ী ও সায়েদাবাদে লঞ্চ বা ফেরির চাপ বেড়েছে, তবে কোনো বাড়তি ভাড়া বা ভোগান্তি নিয়ে অভিযোগ পাওয়া যায়নি
। একজন যাত্রী জানিয়েছেন, “ফিরতি পথে লঞ্চের ধীরগতির কারণে কিছুটা সময় বেশি লেগেছে, তবে overall সুস্থভাবে পৌঁছেছি” ।
ঢাকার বাইরে থেকে আসা জনসাধারণের কথায় জানা গেছে, পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার পর তারা কাজে ফিরতে পেরেছেন স্বস্তির সঙ্গে। কেউ বলেন, “ঘরে আনন্দ করেছি, তারপর ঢাকায় ফিরতে এসে আরাম পেয়েছি” । আরেকটি উল্লেখযোগ্য বিষয়: মোটরসাইকেল-অভিযোগ বা ফুটপাথով যাত্রীদের চাপও যথাযথভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়েছে ।
চ্যালেঞ্জ ও প্রবণতা
আগামী দিনে—বিশেষ করে শুক্রবার ও শনিবার—ফিরতি যাত্রার চাপ আরও বাড়ার সম্ভাবনা যেমন ম্যানেজমেন্ট বলছে
তবে ট্রেন, লঞ্চ ও সড়ক পরিবহনগুলোতে এক্সট্রা সার্ভিস যুক্ত করা হয়েছে যাতে যাত্রীদের ভোগান্তি কমে; এতে করে নিবিঘ্ন ট্র্যাভেল সচেষ্ট করা হচ্ছে ।
নিরাপত্তার কারণে স্টেশনে পুলিশ ও রেলওয়ে স্টাফরা দায়িত্বে রয়েছে—যাতে crowd control ও orderly movement নিশ্চিত করা যায় ।
সামগ্রিক মূল্যায়ন
ঈদ উল আযহার দীর্ঘ ছুটি শেষে চাকরিজীবীরা স্বস্তি নিয়ে ঢাকায় ফিরেছেন। ভোগান্তিমুক্ত সময়ে ট্রেন ও নৌপথের বন্ধুসুলভ পরিবেশ লক্ষ্য করা গেছে। যদিও লঞ্চ ও ফেরিতে কিছু ধীরগতি দেখেছে যাত্রীরা, তবু সার্বিকভাবে যাত্রীদের অভিজ্ঞতা ইতিবাচক বলে মনে হচ্ছে।
তবে সামনে আগত বিশ্বব্যাপী কর্মজীবীরা একত্রে ঢাকায় ফেরার সম্ভাবনা বিবেচনায় পরবর্তী কয়েক দিনে বেশি ভিড়, সম্ভাব্য সময় বিলম্ব ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয় খেয়াল রাখা বাধ্যতামূলক হয়ে দাঁড়াবে।