ঈদের পর ঘরমুখো মানুষের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা: ১০ জুনের রেল টিকিট বিক্রি শুরু আজ

পশ্চিমাঞ্চলগামী টিকিট সকাল ৮টা থেকে, পূর্বাঞ্চলগামী দুপুর ২টা থেকে; শতভাগ অনলাইন বিক্রি, রিফান্ড সুবিধা নেই

ঢাকা, ৩১ মে ২০২৫:
ঈদুল আজহার ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফেরার উদ্দেশ্যে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে বাংলাদেশ রেলওয়ে বিশেষ ব্যবস্থায় অগ্রিম টিকিট বিক্রির কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এর অংশ হিসেবে আজ শনিবার (৩১ মে) বিক্রি শুরু হয়েছে আগামী ১০ জুনের আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট।

রেলওয়ের সূত্রে জানা গেছে, আজকের বিক্রিত টিকিটগুলো শুধুমাত্র ১০ জুনের যাত্রীদের জন্য প্রযোজ্য। এই বিশেষ অগ্রিম বিক্রি কার্যক্রম ঈদের পর যাত্রার চাপ সামাল দিতে রেলওয়ের একটি পূর্বনির্ধারিত পরিকল্পনার অংশ।

দুই অঞ্চলের জন্য আলাদা সময়ে টিকিট বিক্রি
যাত্রীদের ভোগান্তি কমাতে এবারও রেলওয়ে অঞ্চলভিত্তিক বিক্রির সময় নির্ধারণ করেছে। পশ্চিমাঞ্চলগামী আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে সকাল ৮টা থেকে, আর পূর্বাঞ্চলগামী ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হবে দুপুর ২টা থেকে।

শতভাগ টিকিট অনলাইনে, নেই রিফান্ডের সুযোগ
চলতি বছরেও বাংলাদেশ রেলওয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, সব আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট শতভাগ অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বিক্রি করা হবে। যাত্রীদের যাতে লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট সংগ্রহ করতে না হয় এবং কোনো বিশৃঙ্খলা না ঘটে, সে লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

তবে বিশেষ ব্যবস্থায় বিক্রিত এই টিকিটগুলো কোনোভাবেই ফেরত (রিফান্ড) দেওয়া যাবে না বলে জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। অর্থাৎ, একবার টিকিট কাটা হলে তা বাতিল বা ফেরত দেওয়ার সুযোগ থাকবে না।

পরবর্তী দিনের টিকিট বিক্রির সময়সূচি:
বাংলাদেশ রেলওয়ে থেকে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ঈদের পরবর্তী যাত্রার জন্য বিভিন্ন দিনের টিকিট নিম্নোক্ত সময়সূচি অনুযায়ী বিক্রি করা হবে:

• ১১ জুনের টিকিট: বিক্রি হবে ১ জুন

• ১২ জুনের টিকিট: বিক্রি হবে ২ জুন

• ১৩ জুনের টিকিট: বিক্রি হবে ৩ জুন

• ১৪ জুনের টিকিট: বিক্রি হবে ৪ জুন

• ১৫ জুনের টিকিট: বিক্রি হবে ৫ জুন

রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের অনুরোধ জানিয়েছে, সময়মতো টিকিট সংগ্রহ করার জন্য নির্ধারিত দিনে অনলাইনে প্রবেশ করতে এবং বিক্রির সময়সীমা অনুযায়ী কার্যক্রম সম্পন্ন করতে।

শেষ কথা
ঈদ শেষে কর্মজীবী মানুষদের ঘরে ফেরা সহজ ও আরামদায়ক করতে রেলওয়ে যে প্রস্তুতি নিয়েছে, তা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। অনলাইনে শতভাগ টিকিট বিক্রির সিদ্ধান্ত যাত্রী ভোগান্তি কমাবে এবং যাত্রা ব্যবস্থাপনাকে আরও কার্যকর ও সুশৃঙ্খল করে তুলবে বলে আশা করা হচ্ছে।